প্রিয় পাঠক আজ আমি শেয়ার করলাম নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, নারীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা গ্ৰহন করা বাধ্যতামূলক ,তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ ।
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে প্রচলিত আছে, যে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’।
বিভিন্ন কারনে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় পিছিয়ে ।এ অবস্থায় নারীদের জীবন মানের উন্নয়নে ,সামাদের উন্নয়নে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্ৰহন করা বাধ্যতামূলক। দেশের উন্নয়নে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। কমপক্ষে প্রথম হতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা নারীদেরকে আবশ্যই দিতে হবে।
শিক্ষার অভাবে নারীরা আজ যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছে না।তাই জাতির বৃহত্তর এ নারী জাতীকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে । আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী জাতি আর এই অর্ধেক নারী জাতি যদি প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তবে জাতি তথা গোটা সমাজ অন্ধকারে পতিত হবে।
নারী শিক্ষা কেন প্রয়োজন, উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব রচনা আকারে
সম্রাট নেপোলিয়ন বলেছিলেন,
“আমাকে তোমরা শিক্ষিত মা দাও ,আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দেব“
সন্তানের জীবনকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্য মাকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শিশুকে প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তোলার জন্য জ্ঞান ও কৌশল জানা দরকার । অশিক্ষিত মায়ের কাছ থেকে ততটা আশা করা যায়না । সুতরাং বলা যায় নারী জাতিকে অনন্ত পক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা গ্ৰহন করতে হবে এবং তা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক।
পারিবারিক জীবনে নারী ।
পারিবারিক জীবনের কেন্দ্র বিন্দু হলো নারী।একটি সুখী পরিবার গড়ে তুলতে ও নারীর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শুধু একজন মা হিসাবে নয় বরং একজন স্ত্রী হিসেবে তার ভূমিকা অনেক বড়।কারন পরিবার এর সুখ শান্তি নিহিত রয়েছে একজন নারীর মধ্যে । সুতরাং এক্ষেত্রে ও বলা যায় নারীদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্ৰহন করা বাধ্যতামূলক।
কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ,
” কোন কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি ,
প্রেরনা দিয়েছে ,শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষ্মী নারী “।
শিক্ষার অভাবে আজ অনেক নারী জীবন অন্ধকার এ রয়েছে।জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এমনকি নারীর জীবনের উন্নয়নের নারীদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্ৰহন করা বাধ্যতামূলক। পুরুষের পাশাপাশি তারাও এগিয়ে যেতে পারে। কেননা আজ সেই অবস্থায় যে নারী আছেন তারাই উন্নত জীবন যাপন করতে পারছে ।আর যারা অজ্ঞতার মাঝে দিনের পর দিন থাকছে তারা ই পিছিয়ে রয়েছে।তাই নারীদের জীবন মানের উন্নয়নে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে।
নারী শিক্ষা কেন প্রয়োজন, উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব রচনা আকারে
বাংলাদেশে নারীর অবস্থা:
বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় অনেক আগ থেকেই নারী ও পুরুষের বেলায় শিক্ষার গুরুত্ব সমানভাবে বিচার করা হয়নি । পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষের জন্য শিক্ষার সুযোগ ও উদার মানসিকতা যতটুকু আছে নারীর জন্য ততটুকু কিন্তু নেই ।পরিনামে আমাদের সমাজ অগ্ৰসর হতে পারেনি। অপরদিকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় তারা নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয় সুযোগ দিয়ে উন্নত জীবনের স্বাদ ভোগ করেছে।নারী শিক্ষার অগ্ৰগতি না হলে আমাদের কোন অগ্ৰগতি হবেনা।
জাতীর উন্নয়নে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা:
নারীর ভূমিকা প্রধানত মা হিসাবে হলেও রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনে ,ব্যবসা বানিজ্য এর ক্ষেত্রে আজ নারীর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।পূরুষের পাশাপাশি নারীরাও বর্তমান অফিস আদালতে , কলকারখানা কাজ করছে এবং তাদের আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।তাই জাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যানের জন্য নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
শিক্ষিত জননী হিসাবে নারী:
নারীর ভূমিকা প্রধানত জননী হিসাবে বিবেচ্য। আগামী দিনের নাগরিক আজকের শিশুরা জননীর কোলেই প্রতিপালিত হয়। ছেলে মেয়েদের দায়িত্ব মায়েরা বহন করে ।শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা দীক্ষার দায়িত্ব অর্পিত হয় মায়ের ওপর ।মায়ের হাতে সন্তানের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ হয় ।তাই এই জননী ও কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
শিক্ষিত মায়ের সাফল্য:
নারীর যোগ্য স্থান লাভের জন্য দরকার উপযুক্ত শিক্ষার ।শিক্ষা দীক্ষায় তাদের কেও এগিয়ে যেতে হবে।যেমন, সাহিত্য ক্ষেত্রে নওয়াব ফয়জুন্নেসা,বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, সেলিনা হোসেন,জাহানারা আরজু আরো অনেকে। রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও আরো অনেকে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন পুরুষ এর পাশাপাশি।
নারী শিক্ষার গুরুত্ব:
নারীদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্ৰহন করা বাধ্যতামূলক এ জন্যই নারী শিক্ষার ও গুরুত্ব অনস্বীকার্য।নানা দিক দিয়ে নারী শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। অনেক নারীর গৌরব কাহিনী লুকিয়ে আছে ইতিহাস এর পাতায়।যেসব নারী অশিক্ষিত তারা কেবল পরিবার এর বুঝা নয় সমাজের ও বুঝা সুতরাং বলা যায় নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম এবং তার জন্য তাদের কে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
অনন্ত পক্ষে বালিকাদিগকে প্রাথমিক শিক্ষা দিতেই হবে । শিক্ষা অর্থে আমি প্রকৃত সুশিক্ষার কথাই বলি; গোটা কতক পুস্তক পাঠ করিতে বা দু’ ছত্র কবিতা লিখিতে পারা শিক্ষা নয়।আমি চাই সেই শিক্ষা – যাহা তাহাদিগকে নাগরিক অধিকার লাভে সক্ষম করিবে,তাহাদিগকে আর্দশ কন্যা, আর্দশ ভগিনী,আর্দশ গৃহীনি এবং আর্দশ মাতারূপে গঠিত করবে।- …….. বেগম রোকেয়া।
পরিশেষে একথাই বলতে চাই নারীরা সমাজের অর্ধেক অংশ। তাদের কে বাদ দিয়ে সমাজের উন্নতির কথা চিন্তা করে করা যায়না।তাই নারী সমাজকে শিক্ষিত হতে হবে এবং তাদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্ৰহন করা বাধ্যতামূলক হতে হবে।
আমার এই পোস্ট টির মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীরা চাইলে ছোট করে অনুচ্ছেদ ও লিখতে পারবে আবার চাইলে নারী শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রবন্ধ লিখতে পারবে একটু নিজেকে খাটালে ।অনেক সহজ ভাষায় লিখলাম জানিনা তোমাদের কাছে কেমন মনে হবে তবে আশা করি আপনারা বা আমার প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা ও পড়তে সহজ মনে হবে।
প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত থাকছে না পরীক্ষা, মূল্যায়ন করা হবে যেভাবে