সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি: জীবন পরিচলানার ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হলো অর্থ। অর্থ আমাদের জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থ ছাড়া নিজেদের অস্তিত্ব ঠিকিয়ে রাখা দুষ্কর। যদি আমাদের হাতে অর্থ না থাকে তাহলে আমরা লোনের দ্বারস্থ হই। বর্তমানে ঋণ বা লোন পদ্ধতি অনেক সহজ। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষ বিভিন্ন ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংকও তার অন্যতম। Sonali Bank Loan Details।
সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যায়। তবে লোন উত্তলোনের কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতিতে বা ঋণ সুবিধা একেবারে সহজ। আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের নিয়মিত গ্রহক হয়ে থাকেন, এবং সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে ক্যাটাগরি ঠিক করতে হবে। আপনি কোন পদ্ধতিতে লোন নিবেন।
সোনালী ব্যাংক লোনের প্রকার।
সোনালী ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে লোন নিতে পারেন। এর দুই রকক প্রকার রয়েছে। আপনি এই দুই ক্যাটাগরিতে লোন গ্রহণ করতে পারে।
- ব্যাক্তিগত লোন(পারসোনাল লোন)।
- চাকুরিজীবী /পেশাদার/ অন্যান্য লোন।
সোনালী ব্যাংক থেকে এই পদ্ধতিতে ব্যাক্তিগত লোন নিলে, আপনি বিশাল অংকের লোন নিতে পারেন। আবার চাকুরিজীবী বা অন্যান্য ক্যাটাগরির লোন স্বল্প পরিমাণ লোন নিতে পারেন।
সোনালী ব লোন আপনি আপনার যে কোন উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
সোনালী ব্যাংক ব্যক্তিগত লোন।Sonali Bank Personal loan
এখন প্রশ্ন হতে পারে, সোনালী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ কত পরিমান লোন নিতে পারি? আমরা বলব, আপনি যদি বেশী পরিমান লোন তুলতে চান, তাহলে সোনালী ব্যাংকে পারসোনাল লোন তুলতে পারেন। কারণ সোনালী ব্যাংকের পারসোনাল লোনে সর্বোচ্চ পরিমানলোন নেওয়া যায়।পারসোনাল লোনের লিমিট। সোনালী ব্যাংকের পারসোনাল লোনের কিছু শর্ত রয়েছে। সেই শর্ত মোতাবেক আপনাকে লোন নিতে হবে।
- লোনের লিমিট ৬০ হাজার থেকে ৫ কোটি টাকা। যেকেউ এ অব্দি লোন পাবেন।
- বাংলাদেশের সিটিজেন বা নাগরিক হতে হবে।
- বয়স ১৮ এর উপরে হতে হবে।
- নারীও লোন নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সফল উদ্যোগতা হতে হবে।
সোনালী ব্যাংক লোনের নিরাপত্তা
নিরাপত্তার জন্য সোনালী ব্যাংক লোন গ্রহীতার থেকে জামানত রাখে। তবে সেটা টাকার পরিমানে।
- পুরুষের বেলায় ৫ লক্ষ টকা।
- নারীর বেলায় ১০ লক্ষ টাকা।
- এটা টাকাগুলো শুধু সিকিউরিটি বাবদ নেওয়া হয়। আসলে নিরাপত্তার দিকটিও দেখতে হয়। সিকিউরিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সোনালী ব্যংকের পারসোনাল লোনের মেয়াদ। Sonali Bank Personal loan
সবকিছুর মেয়াদ আছে। সোনালী ব্যাংকের পারসোনাল লোনেরও একটা মেয়াদ আছে। নির্দিষ্ট তারিখের ভিতরে ঋণ পরিশোধ করতে হয়।মেয়াদের সময়।
- ৫ বছর। যিনি লোন নিবেন, পাঁচ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। তিনি চাইলে কিস্তির মাধ্যমে লোন পরিশোধ করতে পারেন।
শিক্ষক বা চাকুরিজীবীর সোনালী ব্যাংক লোন।
শিক্ষক বা চাকুরিজীবীদের আয় স্বল্প থাকে। কিন্তু প্রয়োজন ত সবারই বেশী। বেশি প্রয়োজন তাই বেশি টাকার প্রয়োজন। তাই শিক্ষক বা চাকুরিজীবীদের লোনের প্রয়োজন পরে। সোনালী ব্যাংক তাদের জন্য স্বল্প পরিমাণের দিক বিবেচনা করে লোন দেয়। সোনালী ব্যাংকের চাকুরিজীবী বা শিক্ষক লোনের কিছু লিমিটেশন আছে।
চাকুরিজীবী লোনের শর্ত বা লিমিট।
- গ্রাহক ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ঋণ নিতে পারেন।
- ১২ থেকে ৩৬ মাসের সময়সীমা। অর্থাৎ এর ভিতরে লোন পরিশোধ করতে হবে।
- ইন্টারেস্ট ১২% আসবে।
এখন আপনি ঠিক করুন আপনি কোন ঋণ নিবেন। আপনার উন্নয়ন মূলক কাজে কোনটি বেশি উপযোগী। আপনার সাথে সাহযোগিতার আছে সোনালী ব্যাংক। আশাকরি সোনালী ব্যাংকের লোন পদ্ধতি বুঝতে পারছেন।
ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
সোনালী ব্যাংক স্যালারী লোন:
সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন প্রদান করে তাদেরকে, যারা কর্মচারী। এবং যাদের বেতন খুবই কম এবং তাদের জীবনযাত্রার মান খুবই নগণ্য, যে কারণে তারা স্যালারি লোনের প্রতি এদেরই ঋুক তাকে বেশি। কেননা তাদের অয় স্বল্প, বেতন কম তারপরও তারা লোন সেবা নিতে পারেন। তারা সোনালী ব্যাংকের স্যালারী লোন নিতে আগ্রহী থাকেন।
আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক হিসেবে সোনালী ব্যাংক থেকে সেলারি ঋণ সেবা পেতে চান, তাহলে আপনার লক্ষ্য ক্লিয়ার করতে হবে
সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে।সোনালী ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য কিছুখাত বা উদ্দেশ্য হল:
- কম্পিউটার প্রিন্টার।
- স্ক্যানার ক্রয়।
- সাইকেল ক্রয়।
- সবজি বাগান ও নার্সারি স্থাপন।
- মুরগি পালন।
- গরু পালন ও গরু মোটাতাজাকরণ।
- মাছ চাষ প্রকল্প।
- কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণ ইত্যাদি।
সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোনের যাোগ্যতা:
সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন সেবা পেতে হলে কিছু যোগ্যাতা থাকতে হবে। নিচের বিষয়গুলো আবশ্যক:
- চাকুরিজীবী হতে হবে।
- কর্মচারী হতে হবে। LpR সমাপ্তির আগে ৩ বছরের জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে।
সীমা, কিস্তি ও সুদ।
সীমা, কিস্তি ও সুদ পূর্বে উল্লেখিত “চাকুরিজীবী ও অন্যান্য” এর স্বল্প লোনের ন্যায়।
সোনালী ব্যাংকের আরো কিছু খাত রয়েছে, যে খাতে তারা লোন প্রদান করে। আমরা নিচে সে সম্পর্কে কিছু ধারণা দিচ্ছি।
শিক্ষা লোন বা স্টুডেন্ট লোন
সোনালী ব্যাংক শিক্ষা লোন দিয়ে থাকে। এটা শুধু মাত্র স্টুডেন্টদের জন্য প্রযোজ্য। ছাত্ররা যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য এই লোন।
সোনালী ব্যাংক শিক্ষা স্কলারশিপ।
প্রতিবছর সোনালী ব্যাংক শিক্ষা স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থী যাতে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে এজন্য এ স্কলারশিপ।
যোগ্যতা।
- এসএসসি বা সমমান
- এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
- প্রতি চলতে বছরের Ssc ব Hsc হতে হবে।
২,সোনালী ব্যাংক কৃষি লোন।
সোনালী ব্যাংক কৃষি লোন দিয়ে থাকে। কৃষকরা যাতে উন্নয়ন বেশি করতে পারে, দেশের চাহিদার যোগান দিতে পারে সেজন্য সোনালী ব্যাংক কৃষি লোন দিয়ে থাকে।
৩,সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন।
সোনালী ব্যাংক প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে।
এই ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। বা সোনালী ব্যাংক এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
আশাকরি আপনারা সোনালী ব্যাংকের লোন বা ঋণ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। ধন্যবাদ।