জাতীয় বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা সবার ই জানা দরকার ।এমনকি কখনো কখনো অনেক নিয়োগ পরীক্ষায় এবং বিভিন্ন মৌখিক পরীক্ষা ও আর বাজেট নিয়ে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় । জাতীয় বাজেট ২০২২ – ২০২৩ শেয়ার করলাম।
অর্থনীতিতে কোভিট -১৯ এর ধকল কাটতে না কাটতেই এলো ইউক্রেন – রাশিয়া যুদ্ধ । আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেক উপরে সব জিনিসের অনেক দাম তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্কিন ডলার এর সংকট।আর এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ৯ জুন ২০২২ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদ এ ঘোষনা করেন ‘ কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন‘
শিরোনামে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট।
৩০ জুন, ২০২২ পাস এবং ১ লাখ জুলাই ,২০২২ থেকে কার্যকর দেশের ইতিহাসে ৫১ তম বাজেট।
২০২২- ২০২৩ একনজরে বাজেট।
বাজেট এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করলাম ।যা MCQ আস্তে পারে সবার জানা দরকার ।
- উপস্থাপক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
- বাজেট পেশ: ৯জুন,২০২২।
- দেশের এবারের বাজেট : ৫১ তম।
- বর্তমান অর্থমন্ত্রীর পেশকৃত : চতুর্থ বাজেট।
- বাজেটের আকার : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
আয়ের খাত:
- রাজস্ব আয় প্রক্কালন: ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা: ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
- এনবিআর বহির্ভূত কর: ১৮ হাজার কোটি টাকা।
- করব্যতীত প্রাপ্তি: ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
- বৈদেশিক অনুদান: ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।
সর্বাধিক গুরুত্ব: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা।
খরচের খাত:
- বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ: ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
- উন্নয়ন ব্যায়: ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
ঘাটতির যোগান যেভাবে:
- অভ্যন্তরীণ উৎস: ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
- ব্যাংক ঋণ : ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।
- ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ : ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা।
- সঞ্চয় পত্রের থেকে ঋণ: ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
- বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ: ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোন কোটি টাকা।
- করমুক্ত বার্ষিক আয়সীমা: ৩ লাখ টাকা।
বাজেট এর বিশেষ কতগুলো দিক রয়েছে তা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।বাজেট এর এই বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা প্রতিটি নিয়োগ পরীক্ষায় এবং মৌখিক পরীক্ষায় ও কিন্তু সাম্প্রতিক প্রশ্নগুলোতে দু একটা প্রশ্ন আসে।তাই অবহেলা করলে চলবে না।
ছয় চ্যালেঞ্জে আট পদক্ষেপ।
বাজেটে সরকার ছয় ধরনের চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করেছেন।
- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা ও অভ্যন্তরীন বিনোয়োগ বৃদ্ধি;
- গ্যাস বিদ্যুৎ ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাড়তি হারে ভর্তুকির জন্য অর্থের সংস্থান;
- বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যবহার এবং উচ্চ অগ্ৰাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন;
- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন।
- অভ্যন্তরীন মূল্য সংযোজন কর সংগ্ৰহের পরিমাণ এবং ব্যক্তি আয়কর দাতার সংখ্যা বৃদ্ধি।
- টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখা।
বাজেটে যে আট ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
- ভতুর্কি বাড়ানো।
- দরিদ্রদের মধ্যে কম দামে খাদ্য বিতরণ।
- নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে শুল্ক হ্রাস।
- বিলাসী পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো।
- রপ্তানি আয়।
- রেমিট্যান্স বাড়ানো।
- দেশি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
- কৃষি উৎপাদন বাড়ানো।
- কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের লক্ষ্যে।
- জিডিপির প্রবৃদ্ধি………..৭.৫ শতাংশ।
- মূল্যস্ফীতি…………৫.৬ শতাংশ।
- মাথাপিছু আয়…………৩,০০৭ মার্কিন ডলার।
- ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ……….২৪.৯৪ শতাংশ ( জিডিপির).
- বিদ্যুৎ উৎপাদন……..২৬,০০০ মেগাওয়াট।
পরিশেষে বলতে চাই বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা সবার জানা দরকার এবং সবার জানার স্বার্থে আমি এই পোস্ট টি আপনারা জানেন এবং অন্যকে জানাতে বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন এবং কোন ভূল থাকলে কমেন্টে জানাবেন।