গুগলে চাকরির সুবিধা
- Unlimited free food
- Swimming pool
- Relax house
- Great culture
- Free gym classes
- On-site medical staff
- Online Google job
- Death Benifits
- Paternity or maternity
- Hobbies
গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য কোন প্রোগ্রামিং যোগ্যতার প্রয়োজন?
গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রোগ্রামিং ভাষা শেখাত অবশ্যই জরুরী আপনি যদি গুগলে চাকরি পেতে চান তবে JAVA এবং C++ সাথে Go Lang (formally Javascript) এ সব প্রোগ্রামিং সম্পূর্ণ ধারনা থাকতে হবে। সাথে সাথে Data structure ডেটা স্ট্রাকচার ও ইলেক্ট্রিক্যালে প্রচুর দক্ষতা থাকতে হবে।
আপনি যদি গুগলে বা ফেইসবুকে চাকরি করতে চান তবে C/PHP সাথে Javascript+React ভালো ভাবে শিখতে হবে। HHVM বা পি.এইচ.পি PHP এবং Binary বাইনারি কম্পাইল সম্পর্কে অনেক ভালো করে জানতে হবে। এবং ওয়েব সকেট বা ওয়েব এসেম্বলী না জানা থাকলে এখন থেকে প্রাক্টিস শুরু করে দেন।
আপনারা সবাই মনে রাখবেন Facebook, Google অন্যান্য জায়েন্ট বা বৃহৎকার কোম্পানী এরা সর্বদাই নতুন টেকনোলজির Technology দিকে অগ্রসর। তাই আপনারা নতুনটা যদি ধরতে পারেন তাহলে চাকরি পাবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকবে।
আপনি কেনো গুগলে চাকরি করবেন?
আপনি গুগলে চাকরি করবেন কারণ বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় যতগুলো কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে গুগল অন্যতম। তাছা বিশ্বের মানুষের কাছে একমাত্র ও বেশি ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন হলো গুগল। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের যতগুলো কোম্পানি সবচেয়ে বেশি বেতন দিয়ে থাকে তাদের মধ্যে গুগল এর অবস্থান পঞ্চম। গুগলে চাকরি হওয়ার প্রথম মাসেই প্রায় ৫-৬ হাজার ডলার স্যালারি পাওয়া যায়।
অনেকেই মনে করে থাকে যে গুগলে চাকরি পেতে হলে আমাদের সার্টিফিকেট অনেক ভালো হতে হবে। কিন্তু এট একটা ভুল ধারণা। বিগত দিনে এমন অনেক ইতিহাস দেখা গেছে যে জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক ছাত্রছাত্রী গুগলে চাকরি পায় নাই। আবার অনেক ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ না পেয়েও গুগলে চাকরি পেয়েছে। তাই যাদের সার্টিফিকেটে জিপিএ-৫ নেই তাদের অতিরিক্ত চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই।
এখন আমি আপনাকে বেশ কিছু বিষয় বলবো যেগুলা আপনি মনে চলতে পারলে আশা করা যায় আপনিও চাকরি পেয়ে যাবেন গুগল এ।
নিখুঁত জীবনবৃত্তান্ত
গুগলে চাকরির জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনার অবশ্যই সুন্দর একটা জীবনবৃত্তান্ত প্রস্তুত করে রাখবেন। কেননা, আপনার জীবনবৃত্তান্তই তখন আপনার মূল পরিচয় বহন করবে। চেষ্টা করবেন যত সাজিয়ে গুছিয়ে জীবনবৃত্তান্ত দেখা যায় ঠিক ততটুকুই সাজিয়ে গুছিয়ে জীবনবৃত্তান্ত লিখবেন। মনে রাখবেন আপনার জীবনবৃত্তান্ত ঠিক যতটা সুন্দর হবে আপনার চাকরি পাওয়ার সুযোগ ততই বৃদ্ধি পাবে।
কোডিং নিয়ে ধারণা থাকা
গুগলে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি চাকরি হলো কারিগরির উপর। তাই আপনি যদি কোডিং নিয়ে না জানেন তাহলে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন গুগল চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে। বিশেষ করে জাবা, পাইথন, সি++ ইত্যাদি।
অপারেটিং সিস্টেম
বর্তমান সময়ে সবকয়টি ডিজিটাল ডিভাইস এক একটি অপারেটিং সিস্টেম এ চলে থাকে। যেমন – স্মার্টফোন চলে গুগল এর এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এ। আবার মাইক্রোসফট চলে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এ। আবার অ্যাপল চলে তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম আইওএস এ। তাই আপনার অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম গুলো নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ধারণা থাকা
এখন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বলা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আমরা এখন অনেক ফোনের ক্যামেরা দেখতে পাই তারা AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে থাকে। ভবিষ্যতের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে প্রত্যেকটা মানুষের ধারণা থাকা উচিত। আপনি যেহেতু গুগলে চাকরি করতে চান তাহলে তো আপনার অবশ্যই থাকা উচিত, আর যদি না থাকে তাহলে তা অর্জন করে ফেলুন।
কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা থাকা
বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি কাজ অনলাইনে হয়ে থাকে। অনলাইনে কাজ করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। যেমন একটি কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে? কম্পিউটার এর বেসিক বিষয়গুলো পরিপূর্ণ ভাবে জানা ইত্যাদি।
টিমওয়ার্ক
আপনি যদি গুগলে চাকরি পেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই টিম ওয়ার্কের মন মানসিকতা থাকতে হবে। আপনি যদি চিন্তা করেন যে, আমি কোনো টিপওয়ার্ক করবো না, তাহলে আপনি গুগলে চাকরি করার আশা ছেড়ে দিতে পারেন।
সাইবার সিকিউরিটি
সাইবার সিকিউরিটি এখন ট্রেন্ডিং একটা টপিক হয়ে গেছে। বর্তমান বিশ্বে প্রতিমুহূর্তে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট, ব্যাংক একাউন্ট, ইমেইল হ্যাক হচ্ছে। আর এই কারণে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো হাজার হাজার ডলার ব্যায় করে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হায়ার করে থাকে। তাই আপনি যদি একজন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনার যদি গুগলে চাকরি নাও হয়, আপনি গুগলের সিমিলার অনেক কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যাবেন।